Posts

Showing posts from April, 2025

টাঙ্গুয়ার হাওড় ও নীলাদ্রি লেক বা সিরাজ লেক- অপূর্ব দৃশ্যাবলী সম্বলিত একটি প্রাকৃতিক চমক। Presented by Rebati Air Travels.

Image
  নীলাদ্রি লেক বা সিরাজ লেক  বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে অবস্থিত একটি জলাভূমি (লেক) যা প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এটি একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। ১. অবস্থান: নীলাদ্রি লেক সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশে তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি সুনামগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্য দিয়ে পৌঁছানো যায় নীলাদ্রি লেকে। ২. ইতিহাস: সীমান্তবর্তী ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পরিত্যক্ত এই খোয়ারীটি ১৯৪০ সালে চুনাপাথর সংগ্রহ শুরু করে। এখানে চুনাপাথর সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় নির্মিত আসাম বাংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানো হত।  ১৯৬০ সালে সিমেন্ট ফ্যাক্টরী চালু রাখার জন্য চুনা পাথরের প্রয়োজনে ভূমি জরিপ চালিয়ে সীমান্তবর্তী ট্যাকেরঘাট এলাকায় ৩২৭ একর জায়গায় চুনাপাথরের সন্ধান পায় বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৬ সালে খনিজ পাথর প্রকল্পটি মাইনিংয়ের মাধ্যমে র্দীঘদিন পাথর উত্তোলন করা হয়। ১৯৯৬ সালে এই প্রকল্পটি এক...

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার- ইউনেস্কো স্বীকৃত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক স্থান। Presented by Rebati Air Travels.

Image
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার  বা  সোমপুর বিহার  বা  সোমপুর মহাবিহার   বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং প্রাকৃতিক স্থান, যা রাজশাহী বিভাগের নওগা জেলার বদলগাছি উপজেলার  পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। পালবংশের   দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।  ইউনেস্কোর মতে পাহাড়পুর বিহার বা সোমপুর বৌদ্ধ বিহার দক্ষিণ হিমালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার।  উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, বরং চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন।  ১৯৮৫ সালে  ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। পাহাড়পুরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ১. বৌদ্ধ বিহার : পাহাড়পুর বিহারের ইতিহাস অনেক প্রাচীন, এটি ৭ম শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত বিখ্যাত ছিল। এটি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি অন্যতম তীর্থস্থান ছিল। ২. বিশাল আকার :  পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার দক্ষিণ হিমালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ...

শ্রীমঙ্গল- বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি- Presented by Rebati Air Travels.

Image
শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা। এটি চা বাগানের জন্য বিখ্যাত এবং দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।​ শ্রীমঙ্গলের ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার (৭১.১৫ বর্গমাইল) অঞ্চল অর্থাৎ ৪৩.৩৪% ই চা-বাগান অধ্যুষিত অঞ্চল।  শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে  শ্রীমঙ্গলে   রয়েছে ৪০ টি চা বাগান।   শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সব থেকে শীতল ও বৃষ্টিপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।  ১৯৮১ সালের ১৮ জুলাই ৫২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে, যা দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের শীতলতম স্থান।   শ্রীমঙ্গলের পাশে অবস্থিত এককালে বৃহত্তর সিলেটের মৎস্যভান্ডার বলে খ্যাত  বাইক্কা বিল দেশের বৃহৎ মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোর মধ্যে একটি।  বাংলাদেশের একমাত্র চা গবেষণা কেন্দ্র ও  বাংলাদেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র  শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত।  শ্রীমঙ্গল ও এর সংলগ্ন উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান:  লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,  চা বাগান, টি রিসোর্ট, মোহাজেরাবাদ লেবু...