শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা। এটি চা বাগানের জন্য বিখ্যাত এবং দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। শ্রীমঙ্গলের ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার (৭১.১৫ বর্গমাইল) অঞ্চল অর্থাৎ ৪৩.৩৪% ই চা-বাগান অধ্যুষিত অঞ্চল। শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে শ্রীমঙ্গলে রয়েছে ৪০ টি চা বাগান।
শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সব থেকে শীতল ও বৃষ্টিপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। ১৯৮১ সালের ১৮ জুলাই ৫২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে, যা দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের শীতলতম স্থান।
শ্রীমঙ্গলের পাশে অবস্থিত এককালে বৃহত্তর সিলেটের মৎস্যভান্ডার বলে খ্যাত বাইক্কা বিল দেশের বৃহৎ মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশের একমাত্র চা গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত। শ্রীমঙ্গল ও এর সংলগ্ন উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান: লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, চা বাগান, টি রিসোর্ট, মোহাজেরাবাদ লেবু বাগান, আনারস বাগান, ডিনস্টন সিমেট্রি, চাকন্যা ভাস্কর্য, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন, খাসিয়াপুঞ্জি, টিপরা পল্লি, মণিপুরী পাড়া, গারো পল্লি,বার্নিস টিলা, গলফ কোর্স, পাখি বাড়ি, বাদুর বাড়ি, লালমাটি পাহাড়, রাবার বাগান, বাইক্কা বিল, মাধবপুর লেক সহ চায়ের জাদুঘর। এজন্য এ স্থানে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম থাকে।
অবস্থান ও আয়তন
অবস্থান: উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশে, সিলেট বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২শ’ কি.মি. দূরত্বে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে
আয়তন: ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার।
জেলা: মৌলভীবাজার।
ইউনিয়ন: ৯টি।
নামকরনঃ দু’শ বছরের প্রাচীন শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ নিয়ে ভিন্ন-ভিন্ন কাহিনী শোনা গেলেও রেকর্ডপত্রে লিপিবদ্ধ আছে- ‘শ্রীদাস’ ও ‘মঙ্গলদাস’ নামে দু’জন প্রথমে এসে এখানে হাইল-হাওরের তীরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এ দু’ভাইয়ের নামানুসারে শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয় এ জনবসতির।
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
চা বাগান: উপজেলার ৪৩.৩৪% এলাকা চা বাগান দ্বারা আচ্ছাদিত, যা প্রায় ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার。
বৃষ্টিপাত: ১৯৮১ সালে ৫২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড。
হাইল হাওর ও বাইক্কা বিল: বৃহত্তর সিলেটের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত。
কালাপুর গ্যাসক্ষেত্র ও সিলিকা বালি: প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ。
দর্শনীয় স্থান
নীলকণ্ঠ চা কেবিন: নীলকণ্ঠ টি কেবিনই হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে সাত রং চা পরিবেশন করা হয়। যার স্বাদ নিতে চা প্রেমীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন। রমেশ রাম গৌড় হচ্ছেন এই সাত রং চায়ের উদ্ভাবক।
বাইক্কা বিল: বৃহত্তর সিলেটের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ২০০৩ তারিখে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিলটিকে মৎস্য সম্পদের একটি অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। আইড়, কই, মেনি, ফলি, পাবদাসহ আরো অনেক প্রজাতির মাছ এখানে বংশবৃদ্ধি করে পুরো হাওড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিল মাছের জন্যেই শুধু নয়, পাখি এবং অন্যান্য অনেক প্রাণীর জন্যও একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থল। বিলের কিনারে ফোটে হাজারো পানা, শাপলা আর পদ্মফুল। বাইক্কা বিলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে প্রচুর পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন: ১৯১২ সালে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন চালু হয়। প্রথম দিকে ব্রিটিশরা রেলগাড়ি দিয়ে চা ও বিভিন্ন পণ্য উঠা-নামাতে এটি ব্যবহার করত। পরে আস্তে আস্তে এখানে ট্রেনে ভ্রমণকারী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই স্টেশনে মোট ছয়টি ট্রেন এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানঃ এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক জন্য এ বন বিখ্যাত। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ এবং উদ্ভিদ।
মাধবপুর জলপ্রপাত: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত。
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
কলেজ: শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ কলেজ。
মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ২০টি。
মাদ্রাসা: ৭টি。
প্রাথমিক বিদ্যালয়: ২০১৩ সালে ১৩৮টি。
ধর্মীয় স্থান
গাছপীর মাজার: কাকিয়া বাজারে অবস্থিত。
জিলাদপুর তিন গম্বুজ গায়েবি মসজিদ: আশিদ্রোনে অবস্থিত。
হযরত শাহ মঞ্জুর আলী রহঃ মাজার: হুগলিয়া, সিন্দুরখানে অবস্থিত。
যোগাযোগ ব্যবস্থা
রেল: শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল করে。
বাস: ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন শহর থেকে বাস সার্ভিস রয়েছে。
সড়ক: ভাল মানের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা。
থাকার ব্যবস্থা
হোটেল ও রিসোর্ট: শ্রীমঙ্গলে বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য উপযোগী
শ্রীমঙ্গল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা বাগান, ধর্মীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্রের জন্য পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়। আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তবে শ্রীমঙ্গল একটি আদর্শ স্থান।
শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা। এটি তার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। নিচে শ্রীমঙ্গলের প্রধান প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো:
১. চা বাগান
শ্রীমঙ্গলকে "চায়ের রাজধানী" বলা হয়। এখানে প্রায় ৪৩.৩৪% এলাকা জুড়ে রয়েছে চা বাগান, যা প্রায় ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার। এই চা বাগানগুলো দেশের চা উৎপাদনের প্রধান উৎস।
২. বৃষ্টিপাত
শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপাতপ্রবণ এলাকা। ১৯৮১ সালের ১৮ জুলাই এখানে ৫২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
৩. লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান একটি বর্ষাবন (রেইনফরেস্ট)। এটি ১২৫০ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও প্রাণী দেখা যায়।
৪. হাইল-হাওর
শ্রীমঙ্গলের পাশে অবস্থিত হাইল-হাওর একটি বিস্তৃত জলাভূমি। এটি শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত।
৫. পাহাড়ি টিলা ও বনাঞ্চল
শ্রীমঙ্গলে ছোট ছোট পাহাড়ি টিলা ও ঘন বনাঞ্চল রয়েছে। এগুলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
৬. জীববৈচিত্র্য
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও আশেপাশের বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পতঙ্গ দেখা যায়।
শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশের চা রাজধানী হিসেবে পরিচিত, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ একটি উপজেলা। এটি মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত এবং সিলেট বিভাগের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।
শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
১. চা বাগান
শ্রীমঙ্গলে প্রায় ৪৩.৩৪% এলাকা জুড়ে রয়েছে চা বাগান। এই চা বাগানগুলো দেশের অন্যতম প্রধান চা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
২. বৃষ্টিপাত
শ্রীমঙ্গল দেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপাতপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮১ সালের ১৮ জুলাই এখানে ৫২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল, যা দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
৩. লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একমাত্র রেইনফরেস্ট বা বর্ষাবন হিসেবে পরিচিত। এটি শ্রীমঙ্গলের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক আকর্ষণ।
৪. হাইল-হাওর
হাইল-হাওর একসময় বৃহত্তর সিলেটের মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত ছিল। এটি শীতকালে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত।
৫. খাসিয়া পুঞ্জি
শ্রীমঙ্গলে খাসিয়া, মণিপুরী, টিপরা ও গারোদের মতো উপজাতি জনগোষ্ঠী বসবাস করে। তাদের জীবনাচার ও সংস্কৃতি এই অঞ্চলের বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে।
৬. অন্যান্য প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
পাহাড়ি টিলা: শ্রীমঙ্গলের পাহাড়গুলো উচ্চতায় খুব বেশি নয়, তবে টিলার মতো উঁচু-নিচু ভূমি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে বিশেষ করে তোলে।
বৃষ্টিস্নাত ঘন বন: ঘন বনাঞ্চল শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ।
জলাভূমি ও হাওর: বিস্তৃত জলাভূমি ও হাওর এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে আরও সমৃদ্ধ করে।
শ্রীমঙ্গলের এই প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো এই অঞ্চলের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যকে অনন্য করে তোলে। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ গন্তব্য।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোন গন্তব্বের ফ্লাইটের টিকেট কাটুন সবচাইতে কম দামে। টিকেট কাটতে ভিজিট করুনঃ https://rebati.xyz/
অফিসের ঠিকানা :রেবাতি এয়ার ট্রাভেলস ফ্ল্যাট# ৫-বি, বাড়ী# ০৬, রোড# ০৪, ব্লক# এ, সেকশন# ১০, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।২৪/৭ হট-লাইনঃ 09617464331Whatsapp: 01898876901E-mail: rebatiairtravels@gmail.comWebsite: www.rebati.xyz- Website: https://rebatitravels.com/
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোন গন্তব্বের ফ্লাইটের টিকেট কাটুন সবচাইতে কম দামে। টিকেট কাটতে ভিজিট করুনঃ https://rebati.xyz/