পঞ্চগড় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন!
পঞ্চগড় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি উপজেলা এবং এটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।
তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো:
এই ডাকবাংলো থেকে নদী এবং চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়, যা পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় আকর্ষণ।
কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট:
এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম চা বাগানগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে চা প্রক্রিয়াকরণ এবং চায়ের বাগান ঘুরে দেখা যায়।
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট:
এটি বাংলাদেশের স্থলবন্দরের একটি, যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করেছে।
পঞ্চগড় জেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুরে বার আউলিয়া মাজার (Bara Aulia Shrine) অবস্থিত। প্রচলিত আছে, ২টি বাঘ ও ২টি সাপ সবসময় এই মাজারটি পাহারা দিতো এবং কেউ খারাপ উদ্দেশ্যে মাজারে আসলে বাঘ দুটি বের হত। বার আউলিয়াদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন ধরণের জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক পুকুরের নাম মহারাজার দীঘি (Maharajar Dighi)। ধারণা করা হয়, ভিতরগড় নামের ১৫০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক এক রাজ্যে মহারাজা পৃথু রাজত্ব করাকালীন এই দীঘিটি খনন করেন।
বিশালায়তনের স্বচ্ছ পানির এই জলাশয়ের পাড় সহ মোট আয়তন প্রায় ৮০০ x ৪০০ গজ এবং পানির গভীরতা প্রায় ৪৫ ফুট। গাছগাছালিতে ঘেরা মহারাজার দীঘির চারপাশে প্রায় ১০টি ঘাট রয়েছে। কথিত আছে, পৃথু রাজা তার পরিবার পরিজন ও ধনরত্ন সাথে নিয়ে “কীচক” নামক এক নিম্নশ্রেণী দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়ে তাদের সংস্পর্শে ধর্মনাশের ভয়ে এই দীঘিতে আত্নহনন করেছিলেন।
মির্জাপুর শাহী মসজিদ (Mirzapur Shahi Masjid) বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে। মির্জাপুর শাহী মসজিদটি প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের পুরনো। ঢাকায় অবস্থিত হাইকোর্ট মসজিদের নকশার সাথে মির্জাপুর শাহী মসজিদের নকশার অনেক মিল চোখে পড়ে।
আয়তকার মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। মসজিদের ছাদে পাশাপাশি ৩টি গম্বুজ এবং চারকোণে ৪ টি চিকন মিনার আছে। অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য মসজিদের সামনের দেয়ালে আছে ৩ টি দরজা। প্রত্যেক দেয়াল ও দরজায় বিভিন্ন কারুকার্যময় নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নকশায় স্থান পেয়েছে টেরাকোটা প্লাক, ফুল ও লতাপাতার প্রতিরুপ। মসজিদের রয়েছে ফরাসি ভাষায় লেখা একটি শিলালিপি, যা দেখে মোঘল সম্রাট শাহ আলমের রাজত্বকালে মসজিদটি তৈরী বলে মনে করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মির্জাপুর শাহী মসজিদের সার্বিক তত্ত্বাবধান করে।
বাংলাদেশের একমাত্র পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম (Panchagarh Rocks Museum) পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে সম্পূর্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগে অধ্যক্ষ নাজমুল হক এই পাথরের জাদুঘর গড়ে তোলেন। জাদুঘরে বিভিন্ন রং, আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পাথর সংরক্ষিত আছে। হাজার বছরের পুরনো পাথর ছাড়াও এখানে প্রাচীন ইমারতের ইট এবং পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়।
জাদুঘরের জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালায় রয়েছে বিভিন্ন আদিবাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র। উন্মুক্তভাবে এখানে বেশ কিছু বড় বড় পাথর এবং একটি শাল গাছ দিয়ে তৈরি ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩০০ বছর পুরনো দুইটি নৌকা রয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে আর কোন পাথরের জাদুঘর নেই, তাই অন্তত একবারের জন্য হলেও ঘুরে যান পঞ্চগড়ের এই ব্যতিক্রমী পাথরের জাদুঘর বা রকস মিউজিয়াম থেকে।
- অফিসের ঠিকানা :রেবাতি এয়ার ট্রাভেলসফ্ল্যাট# ৫-বি, বাড়ী# ০৬, রোড# ০৪,ব্লক# এ, সেকশন# ১০, মিরপুর,ঢাকা-১২১৬।২৪/৭ হট-লাইনঃ 09617464331Whatsapp: 01898876901E-mail: rebatiairtravels@gmail.comWebsite: www.rebati.xyz
Comments
Post a Comment