পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মেনগ্রোভ বন -সুন্দরবন -ইউনেস্কো স্বীকৃতি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সবুজে ঘেরা একটি শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশ - Presented by Rebati Air Travels
সুন্দরবন - পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মেনগ্রোভ বন যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। এটি বঙ্গপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা একটি প্রশস্ত প্রাকৃতিক বনভূমি। যা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশে অবস্থিত।
.jpeg)
সুন্দরবন ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি অংশ (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। সুন্দরবনকে জালের মত জড়িয়ে রয়েছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল।
.jpeg)
সুন্দরবনে রয়েছে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার , চিত্রা হরিন, সুন্দরী ও গেওয়া গাছ। জরিপ মোতাবেক ১০৬ বাঘ ও ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়, এছাড়াও বনে ২৯০টি পাখি, ১২০টি মাছ, ৪২টি স্তন্যপায়ী, ৩৫টি সরীসৃপ এবং আটটি উভচর প্রজাতিসহ ৪৫৩টি প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রয়েছে।

সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করার মাধ্যমে প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করে। সুন্দরবনে ঘুরা ও রাত্রি যাপনের জন্য অন্যতম একটি রিসোর্ট হল বারাকপুর রিসোর্ট।
নামকরণঃ
বাংলায় সুন্দরবন-এর আক্ষরিক অর্থ সুন্দর জঙ্গল বা সুন্দর বনভূমি। সুন্দরী গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়। অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে যে, এর নামকরণ হয়তো হয়েছে "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" (প্রাচীন আদিবাসী) থেকে। তবে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় সুন্দরী যে গাছ থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। বনের উপর মানুষের অধিক চাপ ক্রমান্বয়ে এর আয়তন সংকুচিত করেছে।

উদ্ভিদবৈচিত্র্যঃ
সুন্দরবনের প্রধান বনজ বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী, গেওয়া, ঝামটি গরান এবং কেওড়া। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত প্রেইন এর হিসেব মতে সর্বমোট ২৪৫টি শ্রেণী এবং ৩৩৪টি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।।
সুন্দরবনের প্রধান গাছপালার মধ্যে অন্যতম সুন্দরী, গেওয়া, গড়ান, পশুর, বাইন, হেঁতাল, গোলপাতা, খামু, লতা সুন্দরী, কেওড়া, ধুন্দুল, আমুর, ছৈলা, ওড়া, কাঁকরা, সিংরা, ঝানা, খলশি ইত্যাদি। কিন্তু সুন্দরবনের নামের সমার্থক হিসেবে যে তরুটি জড়িয়ে আছে, সেটি সুন্দরীগাছ। সুন্দরী ও গেওয়া এর প্রাধাণ্যের পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে ধুন্দল এবং কেওড়া।
প্রাণীবৈচিত্র্যঃ
সুন্দরবনে ব্যাপক প্রাণীবৈচিত্র্য বিদ্যমান। প্রাণীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা সুন্দরবনের কিছু কিছু এলাকায় শিকার নিষিদ্ধ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ অভয়ারণ্যের মত, যেখানে শর্তহীনভাবে বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যায়না এবং বন্য প্রাণীর জীবনে সামান্যই ব্যাঘাত ঘটে।
২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের হিসেব মতে সুন্দরবন ৫০০ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল যা পৃথিবীতে বাঘের একক বৃহত্তম অংশ। বনে ২৯০টি পাখি, ১২০টি মাছ, ৪২টি স্তন্যপায়ী, ৩৫টি সরীসৃপ এবং ৮টি উভচর সহ ৪৫৯টি প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল।
কিভাবে যাবেন:
-
ঢাকা থেকে: ঢাকার সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাস বা প্রাইভেট গাড়িতে মংলা, বাগেরহাট আসতে পারেন। মংলা থেকে নৌকা অথবা ট্রলারে করে সুন্দরবনের করমজলে পৌঁছাতে পারবেন।
করমজলঃ সুন্দরবন দক্ষিণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে সরকারীভাবে পরিচালতি একমাত্র লবন পানির কুমির ও বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ (বাটাগুড় বাল্কা) প্রজনন কেন্দ্র। প্রাকৃতিক পরিবেশে চিত্রল হরিণ, বানর ও কুমির দেখার সুযোগ রয়েছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরীন চিত্র অবলোকনের জন্য দেড় কিলোমিটার কাঠের ট্রিল আছে। উপরের চিত্র দেখার জন্য ৪৫ ফুট উচু একটি আরসিসি টাওয়ার আছে।
জলজ প্রাণী সম্পর্কে জানার জন্য ডলপিন ডিসপ্লে, চিত্রল হরিণের চামড়া, বাঘের কঙ্কাল, কুমিরের ডিম, বিবিধ শ্রেণীর উদ্ভিদ চেনার জন্য আঞ্চলিক, প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক নামের নেমপ্লেট, সুন্দরবনের মানচিত্র, ৩টি বড় কুমির যথাক্রমে রোমিও (পুরুষ), জুলিয়েট ও পিলপিল (নারী) রয়েছে। দায়িত্বপ্র্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার তত্বাবধানে এই মুহুর্তে ২১৭টি বিভিন্ন বয়স ও আকারের কুমির রয়েছে। ২ মিটার দৈর্ঘ্য হলে কুমিরের বাচ্ছা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। পর্যটক ওঠা নামার জন্য রয়েছে ২টি সুদৃশ্য আধুনিক ঘাট। তাছাড়া রাত্রিযাপন করার জন্য নিকস্থ রিসোর্ট রয়েছে। স্বল্প খরচে প্রকৃতির এই লীলাভূমি খুব সহজেই ভ্রমন করা যায়।
দুবলার চরঃ দুবলার চর বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত একটি দ্বীপ যা কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে এটি একটি বিচ্ছিন্ন চর। এই চরের মোট আয়তন ৮১ বর্গমাইল। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয় এবং মেহের আলির চর নিয়ে দুবলার চর গঠিত।
দুবলার চর মূলত জেলে গ্রাম। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুটকি শোকানোর কাজ। বর্ষা মৌসুমে বহু জেলে চার মাসের জন্য ডেরা বেঁধে সাময়িক বসতি গড়ে সেখানে। এই চার মাস তারা মাছকে শুঁটকি বানাতে ব্যস্ত থাকেন।সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগের সদর দপ্তর বাগেরহাট থেকে মাছ সংগ্রহের পূর্বানুমতিসাপেক্ষে বহরদার ও জেলেরা দুবলার চরে প্রবেশ করে থাকেন। দুবলার চর থেকে সরকার নিয়মিত হারে রাজস্ব পেয়ে থাকে।
মূল্য ও প্যাকেজ:
প্রাকৃতিক পরিবেশ
-
রিসোর্টটি সবুজ গাছপালা, খাল-বিল ও পাখির কিচিরমিচিরে ঘেরা।
-
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক আবহ ও নির্জনতা এখানে খুব ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
-
সকালের কুয়াশা ও সন্ধ্যার ঠান্ডা হাওয়া প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।
-
এটি একটি পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট, যেখানে কৃত্রিমতাকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখা হয়েছে।
রিসোর্টটি সবুজ গাছপালা, খাল-বিল ও পাখির কিচিরমিচিরে ঘেরা।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক আবহ ও নির্জনতা এখানে খুব ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সকালের কুয়াশা ও সন্ধ্যার ঠান্ডা হাওয়া প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে।
এটি একটি পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট, যেখানে কৃত্রিমতাকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখা হয়েছে।
পারিবারিক ও দলীয় ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত
-
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনব্যাপী পিকনিক, রাতযাপন বা ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা।
-
অফিস ট্যুর, বন্ধুবান্ধবের দল, স্কুল-কলেজের শিক্ষাভ্রমণ বা কর্পোরেট আউটিংয়ের জন্যও জনপ্রিয়।
-
রিসোর্টের খোলামেলা জায়গা, খেলার মাঠ, ও গ্রুপ সিটিং ব্যবস্থায় সবাই মিলে আনন্দ করা যায়।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনব্যাপী পিকনিক, রাতযাপন বা ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা।
অফিস ট্যুর, বন্ধুবান্ধবের দল, স্কুল-কলেজের শিক্ষাভ্রমণ বা কর্পোরেট আউটিংয়ের জন্যও জনপ্রিয়।
রিসোর্টের খোলামেলা জায়গা, খেলার মাঠ, ও গ্রুপ সিটিং ব্যবস্থায় সবাই মিলে আনন্দ করা যায়।
বিভিন্ন কার্যক্রম
রিসোর্টে নানা ধরণের বিনোদন ও সামাজিক কার্যক্রম উপভোগ করা যায়, যেমন:
-
নৌকা ভ্রমণ: কাছাকাছি খালে বা নদীতে বোটিংয়ের ব্যবস্থা থাকে (সুন্দরবনের কাছাকাছি হওয়ায় অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ মেলে)।
-
বারবিকিউ পার্টি: রাতে খোলা আকাশের নিচে বারবিকিউর আয়োজন করা যায়।
-
ক্যান্ডেল লাইট ডিনার: দম্পতিদের জন্য বা স্পেশাল ইভেন্টে।
-
ইন্ডোর ও আউটডোর গেমস: ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ক্যারম, লুডু ইত্যাদি।
-
সংস্কৃতি অনুষ্ঠান: বড় দলের জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন ও মাইক্রোফোন/সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা থাকে।
-
প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ: সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও স্থানীয় জীবনধারা সম্পর্কে জানা যায়।
সুবিধাদি
-
আরামদায়ক কটেজ ও রুম (এসি/নন-এসি)
-
পরিচ্ছন্ন বাথরুম ও পানি সরবরাহ
-
নামাজ পড়ার জায়গা
-
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরা
-
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা
-
ডাইনিং হল ও রান্নাঘর
-
পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোন গন্তব্বের ফ্লাইটের টিকেট কাটুন সবচাইতে কম দামে। টিকেট কাটতে ভিজিট করুনঃ https://rebati.xyz/
অফিসের ঠিকানা :রেবাতি এয়ার ট্রাভেলস ফ্ল্যাট# ৫-বি, বাড়ী# ০৬, রোড# ০৪, ব্লক# এ, সেকশন# ১০, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।২৪/৭ হট-লাইনঃ 09617464331Whatsapp: 01898876901E-mail: rebatiairtravels@gmail.comWebsite: www.rebati.xyz
আরামদায়ক কটেজ ও রুম (এসি/নন-এসি)
পরিচ্ছন্ন বাথরুম ও পানি সরবরাহ
নামাজ পড়ার জায়গা
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিসি ক্যামেরা
প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা
ডাইনিং হল ও রান্নাঘর
পর্যাপ্ত গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যে কোন গন্তব্বের ফ্লাইটের টিকেট কাটুন সবচাইতে কম দামে। টিকেট কাটতে ভিজিট করুনঃ https://rebati.xyz/
Comments
Post a Comment