সাজেক ভ্যালি-মেঘের উপত্যকা ! পাহাড়ের উপর মেঘের খেলা, প্রকৃতির এক অপরূপ মেলবন্ধন- রেবাতী এয়ার ট্র্যাভেলস।
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের একটি উদীয়মান পর্যটন স্পট যা রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের কাসালং পর্বতমালার পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। উপত্যকাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪৭৬ ফুট (৪৫০ মিটার) উপরে। সাজেক উপত্যকা রাঙামাটির পাহাড় ও ছাদের রানী হিসেবে পরিচিত। সাজেক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন; যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল।
সাজেক হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন; যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। সাজেক রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়া এই দুটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত । ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুই পাড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট । আর ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাড়া । সাজেকে মূলত লুসাই, পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসী বসবাস করে । সাজেকের কলা ও কমলা বেশ বিখ্যাত ।
সাজেক ভ্যালিতে দেখার মতো জায়গা:
- কংলাক পাড়া: সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান। এখান থেকে পুরো ভ্যালির দৃশ্য দেখা যায়।
- রুইলুই পাড়া: সাজেকের প্রথম গ্রাম।
- হ্যালিপ্যাড: হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গা।
- রক গার্ডেন: বিভিন্ন আকারের পাথরের একটি বাগান।
- লুসাই ভিলেজ: লুসাই জনগোষ্ঠীর বসবাস।
- রিসাং ঝর্ণা: একটি ছোট্ট কিন্তু সুন্দর ঝর্ণা।
সাজেক ভ্যালিতে কী করবেন:
- পাহাড় চড়া: সাজেকের পাহাড়গুলোতে হাঁটাচলা করা।
- মেঘের সাথে খেলা: সাজেকে প্রায়ই মেঘ দেখা যায়।
- স্থানীয় খাবার: স্থানীয়দের বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া।
- নদীতে নৌকা ভ্রমণ: কাছাকাছি নদীতে নৌকা ভ্রমণ করা।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের টিপস:
- সেরা সময়: শীতকালে সাজেক ভ্রমণ করা সবচেয়ে ভালো।
- কী নিয়ে যাবেন: গরম কাপড়, জুতা, টুপি, সানস্ক্রিন, ক্যামেরা।
- কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি বাসে গিয়ে, সেখান থেকে সাজেকের জন্য গাড়ি ভাড়া করতে পারেন।
সাজেক ভ্যালি ট্যুর স্পট বিস্তারিত
সাজেক ভ্যালিতে দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান হলো:
- কংলাক পাড়া: সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান এবং একটি আদিবাসী গ্রাম।
- রুইলুই পাড়া: সাজেকের প্রথম গ্রাম এবং একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্পট।
- হ্যালিপ্যাড: পাহাড়ের উপর থেকে পুরো ভ্যালির দৃশ্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ জায়গা।
- রক গার্ডেন: বিভিন্ন আকারের পাথরের এক অদ্ভুত সংগ্রহ।
- লুসাই ভিলেজ: আদিবাসীদের একটি গ্রাম যেখানে তাদের জীবনযাত্রা দেখা যায়।
- ঝুলন্ত ব্রিজ: একটি ছোট্ট ঝুলন্ত ব্রিজ যা একটি ছোট্ট নদীর উপর নির্মিত।
- রিসাং ঝর্ণা: একটি সুন্দর ঝর্ণা যা সাজেকের কাছাকাছি অবস্থিত।
সাজেক ভ্যালিতে কী করবেন?
- ট্রেকিং: পাহাড়ে ট্রেকিং করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে পারেন।
- মেঘ দেখা: ভোরে উঠে মেঘের সাগরের মতো দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
- আদিবাসীদের সাথে মিশা: লুসাই ভিলেজে গিয়ে আদিবাসীদের সাথে মিশে তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারেন।
- স্থানীয় খাবার: স্থানীয় খাবারের স্বাদ নিতে পারেন।
- ফটোগ্রাফি: সাজেকের সৌন্দর্য ধারণ করার জন্য ফটোগ্রাফি করতে পারেন।
কখন যাবেন?
সাজেক ভ্রমণের জন্য শীতকালই সবচেয়ে ভালো সময়। তবে বর্ষাকালেও সাজেকের সৌন্দর্য অন্যরকম।
যাতায়াতঃ
খাগড়াছড়ি সদর থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘিনালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। রাঙামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনেক পথ হেঁটে সাজেক যাওয়া যায়। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও এর যাতায়াত সুবিধা খাগড়াছড়ি থেকে । খাগড়াছড়ি শহর অথবা দীঘিনালা হতে স্থানীয় গাড়িতে (জিপ গাড়ি, সি.এন.জি, মটরসাইকেল) করে সাজেকে যাওয়াই হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম। আর্মিগণের পক্ষ থেকে গাড়িবহর দ্বারা পর্যটকদের গাড়িগুলোকে নিরাপত্তার সাথে সাজেক পৌছে দেয়া হয়। দিনের দুইটি নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত আর্মি ক্যাম্পের পক্ষ হতে সাজেক যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না। পর্যটকদের সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়। সাজেকগামী জিপ গাড়িগুলো স্থানীয়ভাবে চান্দের গাড়ি নামে পরিচিত ।
Comments
Post a Comment